সোনালী আঁশে সাফল্যের হাতছানি নাগরপুরে!
নাজমুল আদনান টাঙ্গাইল
টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলায় এবারও পাট চাষে মুখর হয়ে উঠেছে কৃষক সমাজ। উপজেলার দিঘলকান্দি, ভাদ্রা, পাকুটিয়া, সলিমাবাদ ও গয়হাটাসহ বিভিন্ন গ্রামের মাঠজুড়ে দুলছে সোনালী আঁশের সবুজ গাছ। কৃষকেরা জানাচ্ছেন, অনুকূল আবহাওয়া ও জমির উপযোগী পরিবেশের কারণে এ বছর ভালো ফলনের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরে নাগরপুরে পাট উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ১ হাজার ৮৫০ হেক্টর জমি। ইতোমধ্যেই সেই লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় আশা করা হচ্ছে, এ বছর প্রায় ৩ হাজার ১৬০ মেট্রিক টন পাট উৎপাদন হবে। যার বাজারমূল্য দাঁড়াবে প্রায় ২৯ কোটি ১১ লাখ টাকা।
স্থানীয় কৃষক আব্দুল মালেক বলেন, “আমরা প্রতিবছরই পাট চাষ করি। এবার গাছের বৃদ্ধিও ভালো হয়েছে। যদি বাজারে ন্যায্য দাম পাই, তবে অনেক উপকার হবে।”
আরেক কৃষক রহিম উদ্দিনের অভিমত, “সার, কীটনাশক ও শ্রমিকের দাম দিন দিন বাড়ছে। তবুও পাট চাষ করি, কারণ এটা আমাদের ঐতিহ্য।”
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এস. এম. রাশেদুল হাসান বলেন, “আমরা সরকারি উদ্যোগে পাট চাষীদের বিনামূল্যে বীজ বিতরণসহ নানা প্রণোদনা দিয়ে থাকি। পাশাপাশি আধুনিক প্রযুক্তি ও কৃষি পরামর্শের মাধ্যমে তাদের সহযোগিতা করা হচ্ছে। আশা করছি, এবার কৃষকেরা ভালো ফলন ও ন্যায্য মূল্য পাবেন।”
উল্লেখ্য, একসময় পাট ছিল দেশের প্রধান রপ্তানি আয়। এখনও গ্রামীণ অর্থনীতিতে এ আঁশের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। কৃষকেরা মনে করেন, সরকারের কার্যকর পদক্ষেপ ও ন্যায্য বাজারমূল্য নিশ্চিত হলে নাগরপুরসহ সারাদেশে পাটের সুদিন আবার ফিরিয়ে আনা সম্ভব।