পঞ্চগড়ের আলোচিত আরএমও ডা. আবুল কাশেম সাময়িক বরখাস্ত
নিজস্ব প্রতিবেদক
ধর্ষণের শিকার এক শিশুর বাবার সঙ্গে অশালীন আচরণ ও কুরুচিপূর্ণ মন্তব্যের দায়ে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. আবুল কাশেমকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করেছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়।
সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের পার-৩ শাখা থেকে জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়। বিষয়টি বিকেলে নিশ্চিত করেন পঞ্চগড়ের সিভিল সার্জন ডা. মিজানুর রহমান।
প্রজ্ঞাপনে যা বলা হয়েছে, সরকারি কর্মচারী আচরণ বিধিমালার পরিপন্থী আচরণ করেছেন ডা. আবুল কাশেম—এমন মন্তব্য করে প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, তিনি রোগীর আত্মীয়ের সঙ্গে অপেশাদারসুলভ আচরণ, অশ্লীল মন্তব্য ও দুর্ব্যবহার করেছেন, যা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। ফলে সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা অনুযায়ী এটি অসদাচরণ হিসেবে গণ্য হয়। এজন্য তাকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হলো।
সূত্র জানায়, এর আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি ভিডিও ভাইরাল হয়, যেখানে দেখা যায় ডা. আবুল কাশেম ধর্ষণের শিকার শিশুর বাবাকে অশালীন ও অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ, অপমান ও হুমকি দিচ্ছেন। ভিডিওটি প্রকাশের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক ক্ষোভ ও প্রতিবাদের ঝড় ওঠে।
ঘটনার পরপরই পঞ্চগড়ের সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে তাকে আবাসিক মেডিকেল অফিসারের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়ে রোগীর সঙ্গে দুর্ব্যবহারের কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়।
অভিযুক্ত ডা. আবুল কাশেম পরে এক বিবৃতিতে নিজের আচরণের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন। তিনি রোগীর স্বজন ও এলাকাবাসীর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেন এবং ঘটনাটিকে অনাকাঙ্ক্ষিত বলে উল্লেখ করেন।
স্থানীয়দের মতে, একজন সরকারি চিকিৎসকের কাছ থেকে মানবিক সহানুভূতি ও সহমর্মিতা পাওয়ার কথা। কিন্তু উল্টো কুরুচিপূর্ণ ভাষা ব্যবহার করে তিনি চিকিৎসা নৈতিকতা লঙ্ঘন করেছেন।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে—সাময়িক বরখাস্তই কি যথেষ্ট, নাকি তার বিরুদ্ধে স্থায়ী শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া উচিত?