জয়পুরহাটে জামায়াতের সদস্য সম্মেলন পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনের দাবি
মোঃমোয়ান্নাফ হোসেন শিমুল, জয়পুরহাট
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ও বগুড়া অঞ্চল পরিচালক মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান বলেছেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে পিআর (প্রোপোরশনাল রিপ্রেজেন্টেশন) পদ্ধতিতে। এ জন্য জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি দিতে হবে।
“আগামীকাল নির্বাচন হলেও জামায়াত প্রস্তুত রয়েছে। তবে সবার জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করতে হবে। আওয়ামী স্টাইলে আর কোনো নির্বাচন জনগণ মেনে নেবে না,” বলেন তিনি।
শনিবার বিকেলে জয়পুরহাট শহরের আরামনগরে আব্বাস আলী খান মিলনায়তনে জেলা জামায়াত আয়োজিত ষান্মাসিক রোকন (সদস্য) সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
রফিকুল ইসলাম বলেন, গণহত্যার বিচার ও বিশেষ ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে জামায়াতের শীর্ষ নেতাদের ‘বিচারের নামে হত্যা করা হয়েছে’। তাঁর অভিযোগ, সংশ্লিষ্ট বিচারক ও ব্যক্তিরা “খুনি”—তাদের বিচারের আওতায় আনা হবে।
তিনি আরও বলেন, জামায়াত ইসলামী দল ও সমমনাদের সঙ্গে জোটবদ্ধভাবে নির্বাচনে অংশ নিতে চায়। দেশের রাজনৈতিক অচলাবস্থা নিরসনে পিআর পদ্ধতি চালুর জন্য প্রয়োজনে গণভোটের দাবি তোলেন তিনি। তাঁর ভাষ্য, “পিআর চালু হলে কালো টাকা ছড়ানো বা মনোনয়ন বাণিজ্যের সুযোগ থাকবে না।”
জেলা জামায়াতের আমির ও জয়পুরহাট-১ আসনের প্রার্থী ফজলুর রহমান সাঈদের সভাপতিত্বে সম্মেলনে বিশেষ অতিথি ছিলেন বগুড়া অঞ্চলের টিম সদস্য অধ্যাপক আব্দুর রহিম ও অধ্যাপক নজরুল ইসলাম।
সঞ্চালনা করেন জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি গোলাম কিবরিয়া মণ্ডল। বক্তব্য দেন সহকারী সেক্রেটারি হাসিবুল আলম লিটন, এ্যাডভোকেট মামুনুর রশীদ, জয়পুরহাট-২ আসনের প্রার্থী এস এম রাশেদুল আলম সবুজ, জেলা তারবিয়াত সেক্রেটারি মাওলানা মাহমুদুল হাসান, আর্দশ শিক্ষক ফেডারেশনের জেলা সভাপতি সহকারী অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমানসহ জেলা ও উপজেলার জামায়াত নেতারা।
জামায়াতের উত্থাপিত ৫ দফা দাবি কতটা বাস্তবায়নযোগ্য?
জুলাই সনদের আলোকে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন দেওয়া কি রাজনৈতিক ঐকমত্য পেতে পারে?
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি মানুষের আস্থাহীনতার অভিযোগ কতটা সত্য?
জেলা জামায়াতের সম্মেলন ঘিরে স্থানীয় রাজনৈতিক অঙ্গনে সরব আলোচনা শুরু হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, জামায়াতের পিআর দাবিটি রাজনৈতিক আলোচনায় নতুন মাত্রা যোগ করেছে।