জাতীয় সংসদের সাতক্ষীরা-১ (তালা-কলারোয়া) আসন থেকে আসন্ন নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় প্রকাশনা সম্পাদক, জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য হাবিবুল ইসলাম হাবিব এবং জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও কলারোয়া পৌরসভার সাবেক মেয়র আক্তারুজ্জামান।
এ ছাড়া বিএনপি থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবে আরও দুইজন সাংবাদিকও সরব হয়েছেন। তাঁরা হলেন—
দৈনিক আমাদের সময়–এর কূটনৈতিক বিট প্রধান আরিফুজ্জামান মামুন
দৈনিক ইত্তেফাক–এর রাজনীতি ও নির্বাচনবিষয়ক সম্পাদক সাইদুর রহমান।
অন্যদিকে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-এর সাতক্ষীরা জেলার যুগ্মসমন্বয়ক প্রিন্সিপাল আক্তারুজ্জামান-এরও প্রার্থী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
ইতোমধ্যে জামায়াত তাদের প্রার্থী ঘোষণা করেছে। দলটির কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য অধ্যক্ষ মুহাম্মদ ইজ্জতউল্লাহ সাতক্ষীরা-১ আসনে চূড়ান্ত প্রার্থী হিসেবে নাম ঘোষিত হয়েছেন এবং নির্বাচনি এলাকায় পোস্টার–ব্যানারে তাঁর প্রচারণা দৃশ্যমান হয়ে উঠেছে।
বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী হাবিবুল ইসলাম হাবিব সাংবাদিকদের বলেন—
“নির্বাচন থেকে দূরে রাখতে আওয়ামী লীগ সরকার আমলে আমাকে সাজানো মিথ্যা মামলায় ৭০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তালা-কলারোয়াবাসী যে ভালোবাসা আমাকে দিয়েছেন, তা আমি আজীবন মনে রাখব। দল আমাকে একাধিকবার জনগণকে সেবা করার সুযোগ দিয়েছে, আর আমি সেই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছি।”
অন্য মনোনয়নপ্রত্যাশী জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আক্তারুজ্জামান বলেন—
“এ আসন থেকে আমি নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছি। দল করার কারণে আমাকে একাধিকবার কারাবরণ করতে হয়েছে।”
একইভাবে সাংবাদিক আরিফুজ্জামান মামুনও জানান যে, তিনি এ আসনে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন প্রত্যাশী।
এদিকে জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য, সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী সৈয়দ দিদার বখত বলেন—
“নির্বাচন নিয়ে এখনই কিছু বলা যাবে না। আগে তফসিল ঘোষণা হোক, তারপর দলের সিদ্ধান্ত হলে সেই অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”
স্থানীয়দের মতে, পরিবেশ–পরিস্থিতি অনুকূলে থাকলে সৈয়দ দিদার বখতের নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
অন্যদিকে এনসিপির প্রিন্সিপাল আক্তারুজ্জামান জানান—
“দল যদি সাতক্ষীরা-২ (সদর) আসন থেকেও মনোনয়ন দেয়, তবে আমি সদর আসন থেকে নির্বাচনে অংশ নেব।”