সমাজের আলোকবর্তিকা: শাহিন আহমেদ (লিটন) — নিঃস্বার্থ সেবার অনন্য দৃষ্টান্ত
স্টাফ রিপোর্টার
নাজমুল আদনান, টাঙ্গাইল
তথ্য বলছে, দেশের গ্রামীণ সমাজে যেখানে উন্নয়ন ও সামাজিক দায়বদ্ধতার অভাব প্রায়শই চোখে পড়ে, সেখানে ঘাটাইলের সন্ধানপুর ইউনিয়নের কুশারিয়া গ্রামের সন্তান শাহিন আহমেদ (লিটন) এক ভিন্ন দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। প্রশ্ন উঠছে—কীভাবে একজন সাধারণ মানুষ হয়ে তিনি গ্রামীণ সমাজের আস্থার প্রতীক ও জনকল্যাণমূলক কর্মকাণ্ডের চালিকাশক্তি হয়ে উঠলেন?
সূত্র জানায়, বন্যা, প্রাকৃতিক দুর্যোগ কিংবা মহামারীর মতো সংকটময় সময়ে শাহিন আহমেদ কখনোই নীরব দর্শক হয়ে থাকেননি। খাদ্য, বস্ত্র ও জরুরি সহায়তা নিয়ে তিনি মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন। স্থানীয়রা অভিযোগ নয়, বরং কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন—“কোনো বিপদে পড়লেই সবার আগে শাহিন ভাইকে পাওয়া যায়।
তথ্য বলছে, সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিতে তিনি দীর্ঘদিন ধরে সক্রিয়। দরিদ্র শিক্ষার্থীদের খাতা-কলম সরবরাহ থেকে শুরু করে পড়াশোনার খরচ বহনের দৃষ্টান্তও রয়েছে তাঁর নামে। ফলে এলাকার অনেক অভিভাবক মনে করেন, “আমাদের সন্তানরা স্কুলে টিকে আছে শাহিন আহমেদের সহায়তার কারণে।
স্থানীয়রা জানান, পরিচ্ছন্নতা অভিযান, বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি কিংবা রক্তদান শিবির—প্রতিটি সামাজিক কাজে তিনি নেতৃত্ব দেন। অভিযোগের ভাষা নয়, বরং উৎসাহের সুরে মানুষ বলেন, “শাহিন আহমেদ না থাকলে হয়তো এসব উদ্যোগ বাস্তবায়ন হতো না।
তথ্য বলছে, স্বাস্থ্য, পরিবেশ ও সামাজিক সমস্যা নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে তিনি নিয়মিত সভা-সমাবেশ করেন। বিশেষ করে যুবসমাজকে মাদকবিরোধী আন্দোলন ও মানবিক উদ্যোগে সম্পৃক্ত করতে তাঁর ভূমিকা প্রশংসিত।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শাহিন আহমেদের নিরলস প্রচেষ্টা অন্যদেরও অনুপ্রাণিত করছে। অনেক তরুণ তাঁর পথ অনুসরণ করে সামাজিক কাজে এগিয়ে আসছেন। প্রশ্ন উঠছে—যেখানে রাষ্ট্রীয় বা প্রাতিষ্ঠানিক উদ্যোগে ঘাটতি থেকে যায়, সেখানে শাহিন আহমেদের মতো মানুষ কি সমাজের প্রকৃত ভরসা হয়ে উঠছেন?
শাহিন আহমেদ প্রমাণ করেছেন—সামাজিক সেবা কেবল দায়িত্ব নয়, এটি আনন্দ ও আত্মতৃপ্তির বিষয়। তাঁর কাজের মধ্যেই ফুটে উঠেছে মানবিকতার প্রকৃত চিত্র। তথ্য বলছে, সমাজের উন্নয়ন ও মানবিক রাষ্ট্র গঠনে এ ধরনের নিবেদিতপ্রাণ মানুষের অবদানই সবচেয়ে কার্যকর শক্তি।
জাতীয় প্রশ্ন হচ্ছে—শাহিন আহমেদের এই আদর্শ কি বৃহত্তর পরিসরে ছড়িয়ে দেওয়া সম্ভব? যদি সম্ভব হয়, তবে তা-ই হবে টেকসই সমাজ উন্নয়নের সত্যিকারের দৃষ্টান্ত।