
সাভারে সাংবাদিক মেহেদী হাসান মানিকের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা: সত্য উদঘাটনে সুষ্ঠু তদন্তের দাবিতে সাংবাদিক মহল
আব্দুল হালিম সরদার, সাভার
তথ্য বলছে, বসুন্ধরা গ্রুপের ইংরেজি দৈনিক ডেইলি সান-এর সাভার-ধামরাই প্রতিনিধি ও পেশাদার সাংবাদিক মেহেদী হাসান মানিককে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন মামলায় ফাঁসানো হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় সাংবাদিকরা বলছেন, কোনো সঠিক তদন্ত ছাড়াই এই মামলা দায়ের হওয়ায় তাঁদের পেশাগত স্বাধীনতা ও নিরাপত্তা প্রশ্নের মুখে পড়েছে।
সাভার মডেল থানায় গত ২৬ অক্টোবর মামলা নং ৭২ দায়ের করেন আলী রেজা রাজু নামের এক ব্যক্তি। এজাহারে দাবি করা হয়—সাংবাদিক মেহেদী হাসান মানিক সাভার উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং দৈনিক যায়যায়দিন পত্রিকার সাংবাদিক।
তবে সাংবাদিক মানিকের বক্তব্য অনুযায়ী, এই তথ্য সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। তিনি বলেন,আমি কখনো আওয়ামী লীগের কোনো পদে ছিলাম না। আমি বসুন্ধরা গ্রুপের ডেইলি সান পত্রিকার সাভার-ধামরাই প্রতিনিধি।
আমার পরিচয় গোপন রেখে রাজনৈতিক ট্যাগ লাগিয়ে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে আমাকে মামলায় জড়ানো হয়েছে।
সাংবাদিক মানিকের অভিযোগ,এজাহারে তাঁর প্রকৃত পরিচয় গোপন করে মিথ্যা তথ্য দেওয়া হয়েছে।
কোনো তদন্ত ছাড়াই তাঁকে মামলার ৩ নম্বর আসামি করা হয়েছে। মামলার বাদী আলী রেজা রাজু সাংবাদিক নন; যায়যায়দিন কর্তৃপক্ষও জানিয়েছে, তাঁর নামে কোনো প্রতিনিধি নেই।
বাদীর ব্যবহৃত ফেসবুক আইডিতে আপত্তিকর ছবি-ভিডিও প্রকাশের অভিযোগ তুলে তাঁকে ফাঁসানো হয়েছে।
তিনি দাবি করেন, আমার ফেসবুক আইডি থেকে কোনো ছবি বা ভিডিও পোস্ট করা হয়নি। যদি হয়ে থাকে তবে ফরেনসিক পরীক্ষায় তা বের হবে। এছাড়া ঘটনার দিন আমি কোথায় ছিলাম, মোবাইল ট্র্যাকিং করলেই প্রমাণ মিলবে।”
দৈনিক যায়যায়দিনের অফিস কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আলী রেজা রাজু তাঁদের সংবাদপত্রের প্রতিনিধি নন। বরং সাংবাদিক পরিচয় ব্যবহার করে তিনি বিভিন্ন অপকর্মে জড়িত আছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে।
স্থানীয় সাংবাদিকরা বলছেন, এটি একটি “ষড়যন্ত্রমূলক মামলা” এবং সাংবাদিকদের ভয়ভীতি প্রদর্শনের একটি কৌশল।
প্রশ্ন উঠছে, কোনো যাচাই-বাছাই ছাড়াই কীভাবে একজন সাংবাদিককে মামলায় আসামি করা হলো? বাদীর ভুয়া পরিচয় ব্যবহার করে থানায় মামলা রুজু হওয়ার পেছনে কারা সুবিধাভোগী? সাংবাদিকদের পেশাগত দায়িত্ব পালনে কি নতুন করে বাধা তৈরি করা হচ্ছে?
মেহেদী হাসান মানিকের দাবি, তিনি সত্যিকারের পেশাদার সাংবাদিক এবং তাঁর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। তিনি প্রশাসনকে আহ্বান জানিয়েছেন—ঘটনার দিন তাঁর অবস্থান ও কার্যক্রম ট্র্যাকিং করে সত্য প্রকাশ করা হোক।
তথ্য বলছে, সাংবাদিকদের নিরাপত্তা ও স্বাধীনতা নিয়ে আবারও গুরুতর প্রশ্ন উঠেছে। সাংবাদিক মহল একযোগে বলছে, এই মামলা দ্রুত ও সুষ্ঠুভাবে তদন্ত করা না হলে গণমাধ্যমের ভাবমূর্তি ও পেশাগত স্বাধীনতা আরও ক্ষুণ্ণ হবে।